ফরিদপুরে তিল আবাদ বাড়ছে,তেলের চাহিদা মেটাতে তিল চাষাবাদে আশা জাগাছে।
শাহাদাত হোসেন তিতু র ভিডিও চিত্রে ডেস্ক রিপোট–
তিলে তেল হয় কথাটি সবারই জানা,একসময়ে এই তিল চাষাবাদ হতো আবাদি জমীর সীমানা নির্ধারনের কাজে। এখন তিল নিয়মিত চাষাবাদ হচ্ছে কৃষি বিভাগের গবেষনার মাধ্যমে। উদ্ভাবিত হয়েছে বারি তিল-২ বারি-৩,বারি-৪ ও বারি-৫। চাষাবাদের উদ্ভুদ্ধকরণসহ চাষীদের কে প্রশিক্ষন দিয়ে যাচ্ছে তারা। তেলের চাহিদা মেটাতে তিলের তৈল সহায়ক ভুমিকা পালন করছে বলে কৃষিবিজ্ঞানীদের ধারনা।
খরিপ মৌসুমের তিলই হচ্ছে প্রধান তেল জাতীয় ফসল। এক সময়ে যে ফসলটি ফসলি জমীর সীমানা নির্ধারনীর কাজে ব্যবহার হতো। সেই ফসলটি এখন তেলের চাহিদা মেটানো সহায়ক ভুমিকা পালন করছে। তাই ক্রমেই চাষীরা তিল চাষাবাদে ঝুকছে। এবছর জেলায় ৫ হাজার ২শ”৬২হেক্টর জমীতে তিল চাষাবাদ করে ৬ হাজার ৯শ”৪৫ মেট্রিক টন তেল পাওয়া গেছে যা উৎপাদনের ৪০ শতাংশ তেল । খরা সহিঞ্চু এই ফসল সেচবিহীন হওয়ায় খরচও কম হয়, বিঘা প্রতি উৎপাদন হয় ৬ থেকে ৭ মন ,বিক্রি হয় ৪ হাজার টাকারও বেশী।
তেলে আমদানী নির্ভরতা কমাতে সচেষ্ট সরকার। সেক্ষেত্রে সরিষা,সূর্যমুখী,বাদাম,তিল সহ তেল জাতীয় ফসলের কার্যক্রম কৃষি গবেষনা বিভাগ এগিয়ে দিচ্ছে বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যেমে।
ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে খরিপ মৌসুমে তিল একাট নির্ভরযোগ্য ফসল। স্থানভেদে বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যেমে আধুনিক কৃষিতে রপান্তরিত করা গেলেই চাহিদা মেটানো সম্ভব। #
Leave a Reply