ফরিদপুরে পর্লী প্রগতি সহায়ক সমিতিতে ভাঙ্গনের শব্দ।
ফরিদপরে প্রতিনিধি :
ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে ফরিদপুরের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা “পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতি”(পপসস)। নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি বহু পুরোনো এই সংস্থাটিকে গিলে খাচ্ছে। আর যখন এমন অবস্থাবিরাজমান তখন এই সংস্থাটিতে গ্রামের সাধারণ মানুষের টাকা সঞ্চয় হিসেবে গচ্ছিত রয়েছে প্রায় ৪০ কোটি।
সংস্থাটির সুবিধাভোগীরা যে খেলায় মেতেছে সেই খেলার খবর এখন মানুষের মুখে মুখে। এমন খবরে কতটা প্রভাব পড়বে প্রতি সপ্তাহে ৫০/১০০ টাকা করে সঞ্চয় রাখা গ্রামীণ ওই গৃহীনিদের মধ্যে!!!!! তারা একযোগে সঞ্চয়ের ওই টাকা ফেরত চাইলে কি সদস্যদের সঞ্চয় ফেরত দিতে পারবে সংস্থাটি??? এখনই সময় জটিলতা নিরসনের।
বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে পপসস’র দুর্নীতি অনিয়ম প্রতিরোধ- নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি।
তারা বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বাদ পড়েন তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক অলিয়ার রহমান। তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপও নিয়েছে সংস্থাটি। সংকট দেখা দিলে সংস্থার চেয়ারম্যান এজিএম আহ্বান করে কোনো নির্বাচন ছাড়া সংস্থার গঠনতন্ত্রের উপধারা ৭.০১ উপেক্ষা করে জনাব কুদ্দুস মোল্লাকে নির্বাহী পরিচালক এর দায়ীত্ব দেওয়া হয় এবং তার ছেলে সালাউদ্দিন ইবনে কুদ্দুস বাপ্পিকে নীতিমালার বাইরে নিয়োগ দিয়ে সংস্থা থেকে ৩ লক্ষ টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে কাপড় ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন এর কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলে স্বজনপ্রীতির জন্যই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
অতিরিক্ত ব্যয়, অনিয়ম-দুর্নীতিতে দাতা সংস্থা পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ফান্ড স্থগিত করেছে, সে কারনে পপসস এর ঋণ কার্যক্রমও সংকুচিত হয়ে গেছে। এর ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতিতে জমা রাখা তৃণমূলের অর্ধলক্ষাধীক সদস্যের সঞ্চয়ের প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে, নিয়ম বহির্ভূত নির্বাহী পরিচালক কুদ্দুস মোল্লা ও তার অনভিজ্ঞ ছেলে সালাউদ্দিন ইবনে কুদ্দুস বাপ্পীর অবৈধ নিয়োগ বাতিল, গত ১২ বছরের দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্ত, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাওনা টাকা পরিশোধ, সদস্যদের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবী উল্লেখ করে পপসস’র দুর্নীতি অনিয়ম প্রতিরোধ- নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি।
বক্তব্য দেন পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির সাবেক ম্যানেজার জুবায়ের স্বপন, ফরিদপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কুদ্দুসুর রহমান, ফরিদপুর পৌরসভার ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান শামীম, পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির সাবেক কর্মী আলমগীর হোসেন ও পাপিয়া আমিন।
Leave a Reply