ফরিদপুরে চায়না কমলা বাগান মধুখালীতে।
শাহাদাত হোসেন তিতু,ফরিদপুর।
ফরিদপুরেও চায়না কমলা চাষাবাদে সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কোনো রকম কৃষি বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই ইউটিউব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে চাষাবাদ শুরু করে ইলিয়াছ কাজি নামের এক চাষী। থোকায় থোকায় চায়না কমলা দেখতে পেয়ে মনে হবে যে দাজিলিংএর কোনো এক বাগানে আছি। আসলে না এটা ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের টুমরাকান্দি গ্রামের ইলিয়াছ চাষীর চায়না কমলা বাগান। ৫৭ শতাংশ জমির উপর ১০০টি চায়না কমলা চাড়া রোপন করে বছর তিনেক আগে,প্রথম বছরে কোনো রকম ফল ধরলেও এবছর প্রচুর ফল ধরেছে গাছে,প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ৪০ কেজি ফল ধরেছে চাষী জানায়। তবে বাজারজাত নিয়ে বিপাকে, পাইকাররা প্রতি কেজি ৬০/৭০ টাকা দরে ক্রয় করতে আগ্রহী। জৈব সার, সেক্সফরমন ও হলুদ কার্ড ব্যবহার করে সম্পুন্ন কিট নাশক মুক্ত এই বাগানের ফল খুচরা ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় পেলেও পাইকাররা হতাশ করার চেষ্টায় আছে, বাগান থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এই ইউনিয়নে লিচু চাষাবাদের সুনাম রয়েছে,ইলিয়াছের দেখাদেখি অনেকেই চায়না কমলা বাগান করতে আগ্রহী হলেও বাজারজাত নিয়ে সংশয় আছে বলে উদ্যোক্তার জানান। ক্ষুব্দ কমলা চাষী বলেন কৃষি বিভাগের কর্মকতাদের ফোন দিলে আসে,ঘুরে ঘুরে দেখে চলে যায়,কোনো পরামর্শ দেয় না। তবে কেউ কেউ কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন মনে করেন।কমলার ফলন ভালো তবে বাজারজাত করণের সমস্যা দেখা দিয়েছে,তাই আপেক্ষাকৃত লাভ কম হবে বলে জানিয়েছে কমলা চাষী। পরিচর্যা ও বাজারজাতের কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেলে আরো লাভবান হতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করে।
Leave a Reply