ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন তার নির্বাচনী এলাকা ঘুরে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন নিক্সন। জেলা পরিষদের সামনে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন নিক্সন। এসময় পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে সহস্রাধিক সমর্থক নিয়ে ভাঙ্গার নিজ বাড়ি থেকে ফরিদপুরের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন তিনি।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নিক্সন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন সুষ্ঠু করবেন। আমাদের জনগণ একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আছে। আমরা আশাবাদী ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যে নির্বাচনে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে, দুটো নির্বাচনই শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের লোকদের কাজী জাফর উল্লাহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে মামলার, আমি জানি প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু করা
জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
তাই আমি বলেছি আমার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
শতভাগ সুষ্ঠু হবে, যেটা ২০১৪ এবং ১৮ সালের নির্বাচন আমা
এলাকাতে যেভাবে সুষ্ঠু হয়েছে, ঠিক একইভাবে এবারও আমার এলাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
নিক্সন বলেন, কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব আমার এলাকায় ভোটে দেউলিয়া, কিন্তু সে তার নেতাকর্মীদের বলে, প্রশাসন দিয়ে সে ব্যবস্থা নিবে। জাফর উল্লাহ সাহেব প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেও পারবে না, কারণ নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে। তারপরেও উনার (কাজী জাফর উল্লাহ) অবস্থা দেউলিয়া দেখে উনি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। এই ভয় দিয়ে লাভ হবে না। আমি আশাবাদী, আমার জনগণ আশাবাদী, তিন উপজেলার মানুষ আশাবাদী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিজয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, যে প্রার্থী সে সব সময় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়। তবে আমি একা আশাবাদী না, তিন উপজেলার মানুষও আশাবাদী জয় হবে। উন্নয়নের পক্ষে জয় হবে। যখন করোনার সময়, বিপদের সময় জনগণের পাশে যারা ছিল বিজয় তাদেরই হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ আমাকে কতোটা ভালোবাসে বুঝেন, একজন সামান্য গরু ব্যবসায়ী তিনি নমিনেশন কেনার জন্য আমাকে টাকা দিয়ে গেছেন। সারাবছর কিছু কিছু করে টাকা জমিয়ে তিনি আমাকে দিয়েছেন।
দলীয় কোন চাপের ব্যাপারে নিক্সন বলেন, দলীয় কোন চাপ এখন পর্যন্ত আমি মনে করি না। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের যে মনোভাব তাতে আমি আশাবাদী এবং বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতারা জানেন। অতএব তারা জনগণের বিপক্ষে যাবে না, তারা আমাকে কোন চাপও দিবে না। আমি আশাবাদী এবং আমার এলাকার মানুষ আশাবাদী হ্যাট্রিক হবে ইনশাল্লাহ। সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে আছে, এবার হ্যাট্রিক বিজয়ের মাধ্যমে কাজী জাফর উল্লাহর বিদায় হবে।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাওসার প্রমুখ।
Leave a Reply