1. faridpurkhabor@gmail.com : Sahadat Hossain Tito : Sahadat Hossain Tito
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদপুরে অস্ত্র মামলায় ছাত্রলীগ নেতার ১৭ বছরের কারাদণ্ড বিএনপি জাতীয় সরকারগঠন করে ক্ষমতায় যাবে। ফরিদপুরে বিএনপি’র বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস পালিত। নিক্সন চৌধুরীসহ ৯৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে মামলা ফরিদপুরে সাড়ে তিন বছর পর হত্যা মামলা দায়ের, চেয়ারম্যানকে আসামী করার প্রতিবাদ ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লাবুসহ ১১৪ জনের নামে হত্যা মামলা ফরিদপুরে নিক্সন চৌধুরীসহ ১১০ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার ফরিদপুরে আ’লীগ নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান মজনুকে দূর্ণীতিবাজ আখ্যা দিয়ে অপসারণ দাবী ফরিদপুর বর্ধিত পৌরসভা বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ফরিদপুরে চাকরি পুনর্বহাল এর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের অভিযানে মিললো সরকারি চাল-আটা, ৪ গুদাম সিলগালা

ফরিদপুরের কালো সোনা এবার ৩০০ কোটি টাকার ফসল হতে পারে।

  • Update Time : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪, ১০.৫০ পিএম
  • ১০৯ জন সংবাদটি পড়েছেন।

ফরিদপুরের কালো সোনা এবার ৩০০ কোটি টাকার ফসল হতে পারে।

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুরে চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর পেঁয়াজ বীজের উৎপাদন কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছে সংশ্লিটরা। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ বীজের আমদানি ঠেকানো না গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

দিনে দিনে এই কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজের আবাদ বাড়ছে। বর্তমানে সারাদেশে পেঁয়াজ বীজের চাহিদা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ যোগান দেন ফরিদপুরের চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের ৯টি উপজেলায় ১৮৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে এবার কমপক্ষে পৌনে ৮ মেট্রিক টনের মতো পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকার অধিক বলে আশা করা হচ্ছে।

গত মৌসুমে ফরিদপুরে ১৮৬৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছিল। গতবারের তুলনায় এ বছর আবাদের পরিমাণ বেড়েছে। লাভের মুখ দেখায় এই ফসলের দিকে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের ৯টি উপজেলায় পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে জেলা সদরে প্রায় ২০৮ হেক্টর জমিতে। এরপর ভাঙ্গায় ১৭৬, সদরপুরে ১৪৬, চরভদ্রাসনে ৬৮, মধুখালীতে ৬৮, বোয়ালমারীতে ৩৪, নগরকান্দায় ২৮, সালথায় ২২ ও আলফাডাঙ্গায় ৬ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার পেঁয়াজ বীজ চাষি লাভলি আক্তার ও ইমতাজ মোল্লা দম্পতি গত প্রায় একযুগ ধরে পেঁয়াজ বীজ চাষ করছেন। দুই বিঘা দিয়ে শুরু করে এখন তাদের জমির পরিমাণ ৪০ বিঘা।

নভেম্বর-ডিসেম্বরে আবাদ করে এপ্রিল-মে মাসের দিকে বীজ ঘরে তোলা হয়। ক্ষেত থেকে তোলার পর একবছর এই বীজ সংরক্ষণ করতে হয়। গাছের সাদা কদম তথা গোলাকারের বড় ফুল শুকিয়ে বের হয় কালো দানা বা বীজ। আকাশ ছোঁয়া বাজার দরের কারণে একে বলা হয় কালো সোনা।

একটা সময় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর থাকলেও দিনে দিনে দেশে এই কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজের আবাদ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের বড় পেঁয়াজ বীজ চাষি বকতার খান জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ বীজ আমদানি করা হলে তা সার্বিকভাবেই ক্ষতি ডেকে আনবে। কারণ ভারত থেকে আনা পেঁয়াজ বীজ নিম্নমানের। তাতে ভালো ফলন হয় না। পেঁয়াজ বীজ আবাদে ছোট শিশু পালনের মতোই যত্নশীল থাকতে হয়। কোনো রকম অযত্ন হলে ফলন নষ্ট হয়ে যায়।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ফরিদপুরের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ বীজের আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। যার কারণে এখানে বীজের ব্যাপক আবাদ হয়। নয়টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় এর আবাদ বেশি। এছাড়াও ফরিদপুরে ৩ ধরনের পেঁয়াজ আবাদ হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার জেলার চাষিরা কমপক্ষে পৌনে ৮ মেট্রিক পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করবেন। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকার অধিক।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুরে পেঁয়াজ বীজ চাষিদের সমস্যা নিরসনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর তাদের সকল ধরনের পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহায়তা করে আসছে। চাষিরা দিনে দিনে এ বীজ আবাদ করে উন্নতি করছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2022
Design & Developed By : JM IT SOLUTION