বাম্পার ফলনের আশা ফরিদপুরের কালো সোনা নামে খ্যাত পেয়াঁজ বীজ। ঘুণিঝড় জাওয়াদ ও বৈরী আবহাওয়া থাকায় পেয়াজ বীজ বেশী খরচে আবাদ করা হয়েছে। তবে ফলন ও ভালো হয়েছে,সরকারী তথ্যে জানা গেছে(কৃষি সচিব) উদ্ভাবিত নতুন নতুন পেয়াজ বীজ আবাদ করে আগামী তিন বছরে পেয়াজের ঘাটতি মেটানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং কৃষিতে গতবারের চেয়ে এবছর তিনগুণ বেশী প্রণোদনা দিয়েছে সরকার।
ফরিদপুরের সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নে গোবিন্দপুর গ্রামে বংশপরম্পরায় চাষাবাদ হয়ে আসছে কালো সোনা নামে খ্যাত পেয়াঁজ বীজ যা দেশের চাহিদার বেশীর ভাগ বীজ উৎপন্ন হয় এখান থেকে। মাঠ ভরা সাদা সাদা ফুল, আর ক”দিন পরই কালো হতে থাকবে, উৎপাদন হবে কালো সোনা। এবছর যার বাজার মূল্য হবে প্রতি মণ ২ লক্ষ টাকা। এবছর ঘুণিঝড় জাওয়াদের কারণে জেলার পেয়াজ বীজ চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, একরে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ করে ফলন পাবে প্রায় পাঁচ মন।
চৈত্র-বৈশাখ মাসেই বীজ উত্তোলন হয়ে থাকে কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিদা বেগম জানান, নানা জাতের পেয়াঁজ বীজ বপনের সাথে বারী-৫ গ্রীস্মকালীন পেয়াঁজ চাষাবাদে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,এবছর ১,৪৫০ হেক্টর লক্ষমাত্রা থাকলেও ১,৭১৪ হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ বীজ আবাদ করা হয়েছে,ফলন পাওয়া যাবে ৮৯১ মেট্রিক টন। গত বছর ১,৭১১ হেক্টর জমীতে পেয়াঁজ বীজ চাষাবাদ করে ফলন পাওয়া গেছে ৮৯০ মেট্রিক টন। ঘুণিঝড় জাওয়াদের কারণেই আনুপতিক হারে গতবারের চেয়ে ফলন কম, উৎপাদন খরচ বেশী হয়েছে। দেশের পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ করার লক্ষে গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ বীজের আবাদে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে পেয়াঁজের ঘাটতি মেটাতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার জানালেন কৃষি সচিব মো.সায়েদুল ইসলাম। এ ছাড়া উন্নত জাত তৈরীতে কৃষি গবেষনা ইন্সিটিটিউট কাজ করে যাচ্ছে,জাওয়াদ ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ১৫ লক্ষাধিক কৃষকদের চারা বিতরণ করা হয়েছে জানালেন কৃষি গবেষনা ইন্সিটিটিউট এর মহাপরিচালক ড.দেবাশীষ সরকার। তিনি আরো জানান, কৃষিতে এবছর বিভিন্ন ভাবে গতবারের চেয়ে তিনগুণ প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। গত দশ বছরের পরিসংখানে জানা যায়, সরকারীভাবে আরো তদারকি করা গেলে পেয়াঁজ ঘাটতি মেটানো সম্ভব, আর আমদানী করতে হবে না।
Leave a Reply