ফরিদপুরে ইজিবাইকচালককে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোর রাতে পুলিশ ফরিদপুর সদর উপজেলার কোষা গোপালপুর এলাকার একটি আখ ক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ ছিনতাইকৃত ইজিবাইক ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।গ্রেপ্তাররা হলেন – মো. সোহেল মৃধা (৩৫), মো. চান্দু শেখ (২২) ও সাগর হোসেন (২৮)। তারা সবাই ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। নিহত ইজিবাইকচালকের নাম মোশারফ বেপারী। ফরিদপুর পৌরসভার শোভারামপুর এলাকার মৃত ছাদেক বেপারীর ছেলে তিনি। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা মোশারফ। তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনেরা।
শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মোশারফ বেপারী। রাত হলেও বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয়। রাতে খুঁজে না পেয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কোতয়ালী থানা পুলিশকে জানায় মোশারফের পরিবারের সদস্যরা। এঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালে সন্দেহজনক চলাফেরা করায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মোশারফকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোররাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কোষা গোপালপুর এলাকার একটি ক্ষেত থেকে মোশারফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক ফাহিম ফয়সাল বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply