সাবেক এমপি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ.কে আজাদকে ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের দোসর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ। এ.কে আজাদের নির্বাচনি গণসংযোগে যুবদলের হামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ. কে. আজাদ ২০২৪ সালের ‘ডামি ভোটে’ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে ফরিদপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের লিয়াকত হোসেন মিলনায়নরে এক সংবাদ সম্মেলনে নায়াব ইউসুফ এমন ইঙ্গিত দেন।
রবিবার বিকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে গণসংযোগকালে এ. কে. আজাদের গাড়িবহরে হামলা করেন স্থানীয় যুবদল নেতাকর্মীরা। এসময় ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি ও এ. কে. আজাদের বহরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুর সদর আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা নায়াব ইউসুফ বলেন, “ফরিদপুরের মাটিতে আওয়ামী দুঃশাসনের আমল নতুন রূপে শুরু হয়েছে। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে এসেও অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে- ফরিদপুরের পুলিশ প্রশাসন এই সব আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এ. কে. আজাদ এ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন। এই আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেরছ আলী ইছা ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহাবুব হাসান ভূইয়া পিংকু দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।”
ফরিদপুর সদর আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নায়াব ইউসুফ বলেন, “গত দুই দিন যাবৎ আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভয়ভীতির সৃষ্টি করছে- যেমনটা অতীতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো হতো।”
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির দৃষ্টি আকর্ষণ করে নায়ার ইউসুফ বলেন, “দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একে আজাদসহ ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।”
সংবাদ সম্মেলন শেষে নায়াব ইউসুফ নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
Leave a Reply