ফরিদপুরে সংস্কৃতি অঙ্গনে চাঁদের হাটের সেমিনার।
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
জাতীয় শিশু- কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাট ফরিদপুর জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফরিদপুরের সংস্কৃতি উন্নয়নে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতিক সেমিনার।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন : বিশিষ্ট নাট্যকার ও নির্দেশক গোবিন্দ বাগচী।
জাতীয় সংগীত এর মধ্য দিয়ে সেমিনারটির কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে সংগীত,নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশিত হয়।এবং প্রবন্ধটি প্রশংসিত হয়।
পরে প্রবন্ধের উপরে আলোকপাত হয়।
ফরিদপুরের সংস্কৃতির উন্নয়নে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ফরিদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে।
প্রথমে জাতীয় সংগীত এর মধ্য দিয়ে সেমিনারটি শুরু হয়। পরবর্তীতে পুষ্পিতা হালদারের সংগীত ও দিশা পোদ্দারের নিত্য দিয়ে সেমিনারের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তিতুর ও শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচার অফিসার সাইফুল হাসান মিলনের শুভেচ্ছা বক্তব্য বক্তব্যের পরেই নাট্যকার ও নির্দেশক গোবিন্দ বাগচীর মূল প্রবন্ধ পাঠে অনুষ্ঠান আরো বেগবান হয়।
প্রবন্ধকার গোবিন্দ বাগচী সংস্কৃতির সংজ্ঞা সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংজ্ঞা এবং উন্নয়নের সংজ্ঞা প্রদান করেন। পরবতিতে ফরিদপুরের সংস্কৃতি উন্নয়নে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন। এবং প্রবন্ধটি প্রশংসিত হয়। পরে প্রবন্ধের উপরে আলোকপাত করা হয়।
প্রথমেই আলোচনায় অংশ নেন কবি হারুনুর রশিদ তার মতে অনুসরণ এবং হতাশার কথা উঠে এসেছে।
নাট্যভীনেতা পলাশ খান নিজেদের মূল্যায়ন করতে হবে সম্মান দিতে হবে সঙ্গে অভাব ও দূর করতে হবে।
কবি সৈয়দ মজনু তিনি বলেন অহংকার বোধটুকু সংস্কৃতি টাকে ঘিরে ধরেছে।
কবি ও অভিনেতা সংগঠক কামাল। তিনি পান্ডুলিপির উপর কর্মশালার করতে হবে জোর দেন।
কবি গালিব বলেন প্রবন্ধ চমৎকার হয়েছে প্রবন্ধকার কে নাটকের কর্মশালার উপরে বেশি জোর দিতে বলেছেন। তিনি আরো বলেন কর্মী সংকট এবং দর্শক সংকট। কারণ অহংকার।
আমাদের মধ্যে একটা বিশাল দেওয়াল রয়েছে সেই দেওয়াল ভেদ করিয়া আমাদেরকে আসতে হবে ভেতরে ভেতরে অহংকার এবং নোংরাবতটুকু জাগ্রত আছে বলেন কবি শফিকুল ইসলাম.।
দ্বিধা দ্বন্দ্ব অহংকার এবং কর্মী সম্পর্কে যা বিশেষ করে অহংকার সংগঠনগুলোকে নষ্ট করে ফেলেছে এই কারণে দর্শক সংকট বলেন কবি আব্দুর রাজ্জাক রাজা
তরুন নাট্য কর্মী মিরাজ আক্ষেপ করে বলেন আমাদের মধ্যে একতা নাই এবং আমাদেরকে সুযোগ দেয়া হয় না ।
কবি বিজয় পোদ্দার তিনি কবিতার মধ্য দিয়ে সংস্কৃতির উন্নয়ন ও সংকট তুলে ধরেন তিনি বলেন সংস্কৃতির মধ্যে সংকট রয়েছে,রয়েছ কর্মীর অভাব।
অভিনেতা মেহেদী মিঠু, বলেন সবাইকে এক হতে হবে। সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে মূল্যায়ন করতে হবে। শ্রেণীবিভেদে ভুলে এক সাথে কাজ করতে হবে।
সংস্কৃতি কর্মী নন্দিতা ঘোষ,তিনি বলেন নিজের সন্তান আত্মীয়-স্বজনদেরকে অনুষ্ঠানে আনতে হবে,আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেখাতে হবে শিখাতে হবে। অহংকার রোধ করতে হবে এবং দর্শক সমাগম বেশি করতে হবে। মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। ভেদাভেদ বাদ দিতে হবে।
সংস্কৃতি কর্মী নিরব ইমতিয়াজ শান্ত তিনি বলেন অহংকার সংগঠনটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। ভেদাভেদ ইগো এগুলো বাদ দিতে হবে । আর এখন থেকে দেখতে হবে কারা সংগঠনে আসে, কারা আসে না। নিজেরাই মনে করে আমরা এক একটা নির্দেশক ,নাট্যকার। অন্যদেরকে সুযোগ দেন না আরো বলেন. এই উন্নয়ন কর্মশালাটি প্রশংসা করেন। প্রবন্ধকারের প্রশংসা করেন । চমৎকার প্রবন্ধ ঘোষনা, প্রশংসা করেন এবং তিনি বলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মাধ্যমে আরেকটি সেমিনার করা দরকার।
আবৃত্তিকার জাহিদুল ইসলাম তিনি কর্মশালার উপরে এবং কর্মী সংকটের উপরে বেশি গুরুত্ব দেন এবং বলেন, যে আসবে না সে তার কপাল নিয়ে আসবে না। পরবর্তীতে সে সুযোগ পাবে না।
Leave a Reply