1. : deleted-ZSDcqAM1 :
  2. faridpurkhabor@gmail.com : Sahadat Hossain Tito : Sahadat Hossain Tito
  3. jmitsolution24@gmail.com : support :
  4. : wp_update-1720111722 :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরের নিপা ফ্লাওয়ার মিলে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন শিশু খাদ্যপণ্য জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী। ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি কুটি মিয়া গ্রেপ্তার, বিপুল অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার ফরিদপুরে ১৯ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কারাগারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে ফুলেল শুভেচ্ছায় জেলা কালচারাল অফিসার। ফরিদপুরে জুলাই গনঅভ্যুত্থানে আহত “সি” ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের ১০৩ টি চেক বিতরণ ফরিদপুরে বাবার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেল ছেলের ফরিদপুরের বোয়ালমারীর একতারা-দোতারা যাচ্ছে লালনের মাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়  ফরিদপুরে স্মরণকালের সর্বোচ্চ উপস্থিতিতে বর্ষবরণ-১৪৩২,,, ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট  অনুষ্ঠান। ফরিদপুরে ছাত্র-জনতার জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহতদের হেলথ কার্ড প্রদান

ফরিদপুরে কোতোয়ালি থানায় চাঞ্চল্যকর তুরাগ হত্যা মামলার  তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

  • Update Time : রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১১.০৬ পিএম
  • ২৫৬ জন সংবাদটি পড়েছেন।
ফরিদপুরে কোতোয়ালি থানায় চাঞ্চল্যকর তুরাগ হত্যা মামলার  তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
ফরিদপুর জেলায় ‌ চাঞ্চল্যকর ‌ তুরাগ হত্যা মামলার তিনজন আসামীকে ‌ গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ।
আজ রবিবার ‌ বেলা বারোটায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ‌ সাথে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ‌, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা কোতোয়ালি থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল সহ ফরিদপুর জেলা পুলিশের কর্মকর্তা বৃন্দ এবং ফরিদপুরের বিভিন্ন প্রিন্ট ও  ইলেকট্রনিক মিডিয়ার
সাংবাদিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়  গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুর গ্রামের  জনৈক জামাল মোল্লা এর মেহগনি ও কলা বাগানের মধ্যে একটি লাশ পরে আছে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ পৌঁছে লাশ দেখে তদন্ত শুরু করে, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এতে  তুরাগ এর পিতা মোঃ আলাউদ্দিন হাওলাদার (৬৭) কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত  ১৭ অক্টোবর   এজাহারনামীয় আসামী
 মোঃ আব্বাস জমাদ্দার(৩৫) কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত  ৬ নভেম্বর  এজাহারনামীয় আসামী
মোঃ টিপু খা (৩৫) কে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আসামী মোঃ টিপু খাঁ স্বেচ্ছায় ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।
টিপু খাঁর জবানবন্দির সূত্র ধরে ১৮ নভেম্বর  রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায়  তদন্তে প্রাপ্ত আসামী
 ১। মো: জুয়েল শেখ (৩৮) কে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ জুয়েল শেখ এর দেওয়া তথ্য মতে ১৯ নভেম্বর  রাত আনুমানিক  ০১.৩০ মিনিটে এজাহারনামীয় আসামী
 ২। মোঃ রাজন ওরফে কালা রাজন(২৬)
এবং
৩। মোঃ সাজন (২৪) কে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
 আসামী রাজন এবং সাজন এর দেওয়া তথ্যমতে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন পশ্চিম ভাষানচর হতে তদন্তে প্রাপ্ত পলাতক আসামী শাহিন শেখ(৩৭) এর ঘরের ভিতর হইতে ২টি রামদা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আসামী কানা তুষার এবং তার সহযোগীদের সাথে  তুরাগ এর দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ ও মামলা চলে আসছিল। গত জানুয়ারি  ২০২৩ কবি জসীম মেলার সময় আসামী তুষার  তুরাগকে ৪১,০০০/- টাকা দেয় মাদকদ্রব্য (গাঁজা) কেনার জন্য কিন্তু তুরাগ টাকার কথা অস্বীকার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুষার তুরাগকে মারার হুমকি দেয়। তাতে তুরাগ ক্ষিপ্ত হয়ে তুষারকে এলোপাথাড়ি কোপায়। উক্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনার কিছুদিন পূর্বে আসামী কানা তুষারের বাড়িতে বসে আসামী কানা তুষার, রাজন, সাজন, টিপু, জুয়েল, শাহীন, সোহাগসহ ০৭ জন মিলে তুরাগকে মারার পরিকল্পনা করে। হত্যাকান্ড সংঘটিত করার জন্য আসামী কানা তুষার  ৬ টি রামদা বানায়।
পরিকল্পনামতে গত ১১ অক্টোবর তারিখে দুপুর অনুমান ২:৩০ মিনিটে  আসামী কানা তুষার, রাজন, সাজন, টিপু এবং জুয়েল ধুলদি গোবিন্দপুর জামাল মোল্লার কলা বাগানে একত্রিত হয়। তুরাগকে বাগানে ডেকে আনে রাজন। তুরাগ ঘটনাস্থলে আসার পর রাজন এবং কানা তুষার তাকে ইয়াবা খাওয়ায়। আসামী জুয়েল তুরাগের পিছনে বসে থাকে। আসামী টিপু ও সাজন উভয়ে ১ টি করে রামদা নিয়ে আড়ালে বসে থাকে। ইয়াবা সেবন শেষে আসামী কানা তুষার কোপানোর জন্য জুয়েল এবং রাজনকে ইশারা দেয়। ইশারা দেওয়ার সাথে সাথে আসামী জুয়েল  তুরাগকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে।
তখন রাজন কলা গাছের ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রাখা রামদা বের করে তুরাগের হাটু বরাবর কোপ দেয়। আসামী কানা তুষার তার কোমড় থেকে পিস্তল বের করে গুলি করে। আসামী টিপু এবং সাজন দৌড়ে এসে রামদা দিয়ে ডিসিস্ট তুরাগের হাত পা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতারিভাবে কোপায় ।
তুরাগের মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ঘটনাস্থল হতে রাস্তায় ওঠার পর কানা তুষার বলে, তুরাগের হাত যে এনে দিতে পারবে তার জন্য পুরস্কার আছে। তখন টিপু পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে রামদা দিয়ে তার এর বাম হাত এর কনুইয়ের উপরে ৩- ৪ টি কোপ দিয়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে হাত নিয়ে আসে। তখন টিপু কানা তুষারের কাছে গিয়ে বলে, ভাই আপনার জন্য তুরাগের হাত কাইটা নিয়া আসছি। তখন তাদের সামনে রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়া কালে পেয়ে তুরাগের বন্ধু বেলায়েতকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাজন এবং সাজন পিছন থেকে এলোপাতারি ভাবে কোপায়। পরবর্তীতে তারা একটি অটোতে করে আলীপুর খা-পাড়া ব্রীজ হয়ে মধ্য ভাষানচরে যায় এবং সেখানে লুকিয়ে থাকা শাহীনের নিকট তুরাগের কাঁটা হাত ও রামদা বুঝিয়ে দিয়ে তারা গোয়ালন্দের দিকে পালিয়ে যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2022
Design & Developed By : JM IT SOLUTION