1. faridpurkhabor@gmail.com : Sahadat Hossain Tito : Sahadat Hossain Tito
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘সবুজসোনা‘কে সেরা পাট ঘোষণা বিজ্ঞানীদের ‘শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে’ সি আর আরবার=শিক্ষা উপদেষ্ঠা। ফরিদপুরে সংস্কৃতি অঙ্গনে চাঁদের হাটের সেমিনার। ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফয়েজ আহম্মেদকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফরিদপুর সাংবাদিক গৌতম দাসের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ফরিদপুরে চাঁদের হাটের সাংসকৃতিক সেমিনার হয়েছে ফরিদপুরে পেয়াজ চাষাবাদে কৃষক প্রশিক্ষন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার গ্রেপ্তার তিন ফরিদপুরে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ‌ দুই দিনের রিমান্ড ‌ মনজুর করেছে ‌ আদালত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর একতারা-দোতারা যাচ্ছে লালনের মাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়

  • Update Time : সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ১২.৪৮ এএম
  • ৩৫২ জন সংবাদটি পড়েছেন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর একতারা-দোতারা যাচ্ছে লালনের মাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়
ফরিদপুর প্রতিনিধি :ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তৈরি একতারা, দোতারা, সরোস, সরোত, খঞ্জুরি এখন কেবল স্থানীয় পর্যায়েই নয়, পৌঁছে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়। এমনকি ভারতেও রপ্তানি হচ্ছে এসব লোকজ বাদ্যযন্ত্র, এমনটাই জানিয়েছেন কারখানার মালিক সাধু হেলাল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধু হেলালের কারখানায় তৈরি বাদ্যযন্ত্রগুলো কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা জেলাসহ দেশের নানা এলাকায় পাইকারি দামে বিক্রি হয়। তার বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের ডহরনগর গ্রামে। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে রূপাপাত ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকায় অবস্থিত নিজের কারখানায় এই বাদ্যযন্ত্রগুলো তৈরি করে আসছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানায় চারজন শ্রমিক কাজ করেন। একতারা ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা পর্যন্ত, আর দোতারা, সরোস ও সরোত ৪ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
সাধু হেলাল জনকণ্ঠকে বলেন, “আমি সাত বছর ধরে এসব বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছি। আশপাশের ছোট-বড় মেলাগুলোতেও এগুলোর চাহিদা রয়েছে। ভারতেও পাঠানো হয়। আমার কারখানায় নিয়মিত চারজন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের প্রতিদিন ৭০০ টাকা করে মজুরি দিতে হয়। প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়।”
বোয়ালমারীর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমীর চারু জনকণ্ঠকে বলেন, “এক সময় গ্রামাঞ্চলের মানুষ লোকসংগীত, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি গাইতো একতারা-দোতারা বাজিয়ে। বর্ষাকালে উঠানে মানুষ জড়ো হয়ে রাতভর গান গাইতো। এখন তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। ফলে একতারা-দোতারার কদর অনেকটাই কমেছে।”
এ বিষয়ে রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সোনা মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, “সাধু হেলাল বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে একদিকে যেমন জীবিকা নির্বাহ করছেন, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোকজ সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তার কারখানাটি টিকিয়ে রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা থাকবে।”

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2022
Design & Developed By : JM IT SOLUTION