ফরিদপুরে স্মরণকালের সর্বোচ্চ উপস্থিতিতে বর্ষবরণ-১৪৩২,,, ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট অনুষ্ঠান।
ফরিদপুর প্রতিনিধি :
নাচে, গানে, অভিনয় ভরপুর ছিল অম্বিকা ময়দানের উন্মুক্ত মঞ্চ। দিনটি ছিল বর্ষবরণ ১৪৩২ সালের বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে। ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ ১৪৩২ খ্রিস্টাব্দে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ১৫ টি দলের অংশগ্রহণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাংস্কৃতিসেবি বলেই ফেললেন, সাকসেস ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এ ধরনের আয়োজন ও জম্পেশ অনুষ্ঠান এর আগে কখনো সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে হয়নি। তিনি সাধুবাদ জানিয়ে বললেন, এভাবে চলতে থাকলে ফরিদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গন আরো সমৃদ্ধ হবে। ১৫ টি সংগঠনের অংশগ্রহণ ও অনুষ্ঠান সময়কাল ছিল প্রত্যেক সংগঠন ১০ মিনিট। এই কম্প্যাক্ট দশ মিনিটের প্রোগ্রাম প্রত্যেকটি সাংগঠনই চোখ জুড়ানো অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে। যা ফরিদপুরে দর্শক বিমোহিত। ছিল প্রতিটি দলের জন্য অনবদ্য পারফরমেন্স কে কার চাইতে বেশি ভালো করতে পারে। প্রতিটি সংগঠনেরই চমৎকার পোশাক ও সাজসজ্জা ছিল দেখার মত। ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তিতু বলেন, আমরা শংকিত ছিলাম বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি করতে পারবো কিনা, সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা বেশ কদিন আগ থেকেই পূর্ব প্রস্তুতিনিচ্ছিলাম,সংগঠনগুলোকে নির্ধারিত সময়ে জন্য অনুষ্ঠান তৈরি করা,ড্রেস সাজসজ্জা ও অনুষ্ঠান সিলেকশন, এ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আর তাই ফরিদপুরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা সুন্দর একটা অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে। সময়ের স্বল্পতার কারণে অনুষ্ঠান কিছুটা সংক্ষিপ্ত করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে,বলেন ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিদের জন্য আবার অনুষ্ঠান করা হবে । মন খারাপ করার করা যাবে না। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা লোকজ আঙ্গিকে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে অম্বিকা ময়দানের শেষ হয়। জাতীয় সংগীত দিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়, চলে পান্তাআহার। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, পৌর প্রশাসক রওশন ইসলাম চৌধুরী।
Leave a Reply